রাজশাহীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুট

Sadakalosangbad

রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুকুরের পাঁচলক্ষ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ তুলে এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুকুরের অংশীদার এক মাছ চাষী।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাগমারা উপজেলার মোগাইপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম কবিরাজের ছেলে মাসুদ রানা এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। বক্তব্যে, আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার জান মোহাম্মদ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ লুট করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

মৎস্য চাষী মাসুদের বক্তব্য মতে, ১৪৪ ধারা অমান্যের ঘটনাটি ঘটেছে বাগমারা উপজেলার ৫ নং আউচপাড়া ইউনিয়নের মোগাইপাড়া গ্রামে। গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মোগাইপাড়া মৌজায় ৪৪ ধারা জারিকৃত পুকুরে মাছ ধরেন সরদার জান মোহাম্মাদ এবং তাঁর লোকজন।

দীর্ঘদিন থেকে মোগাইপাড়া গ্রামের মাসুদ রানা ও সরদার জান মোহাম্মাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মাসুদ রানা বিবাদমান পুকুরটি আরেক শরিক মারুফ হাসানের কাছ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২১ সালে ১০ বছর মেয়াদী লিজ গ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে মারুফ হাসানের সাথে মাসুদ রানার পারিবারিক কলহের জেরে মারুফ, ভিকটিম মাসুদ রানার ক্ষতি করার জন্য ১২ নভেম্বর ২০২১ সালে সরদার জান মোহাম্মদকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সাব-লিজ প্রদান করেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা-হামলা, দখল-জবর দখলের ঘটনাও ঘটে।

মাসুদ রানা জানান, গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সরদার জান মোহাম্মাদ আমার দিঘি থেকে বেআইনি ভাবে তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে গেছেন। মাছগুলো ট্রাকযোগে ( যার নং রাজ মেট্রো- ড ১১- ০১৪৯ ) ঢাকার উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। মাছ লুটের বিষয়ে বাগমারা থানা ও হাটগাঙ্গোপাড়া ফাঁড়ির পুলিশকে অবগত করা হলেও তারা নিরব ভূমিকা পালন করেন।

এদিকে, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ আহমেদ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে পুকুরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। পুলিশ সুপারের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে একাধিক নম্বর থেকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে সাবেক চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এ থানায় নতুন, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নাই, তবে আজ সকালে একজন অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Comment

অনুবাদ