১০ কেজি হেরোইন সহ ৱ্যাব-৫ এর জালে মাদক সম্রাট ধুলু আটক

Sadakalosangbad

মাটির গর্তে প্লাষ্টিকের ড্রামে অভিনব কৌশলে লুকানো অবস্থায় ১০ কেজি হেরোইন সহ মাদক ব্যবসায়ী ধুলু মিয়া ও তার ছেলেকে আটক করেছে ৱ্যাব-৫। এটি ২০২৩ সালের জব্দ হওয়া মাদকের সবচেয়ে বড় চালান।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ ডিসেম্বর ) দুপুরে ৱ্যাব-৫ এর সম্মেলন কক্ষে বিদায়ী কমান্ডেন্ট অফিসার কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। এসময় নবাগত সিও লে: কর্নেল মুনিম ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।
১৪ ডিসেম্বর-২৩ সকাল আনুমানিক ৯ টায় সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চর বাগডাঙ্গা ইউনিয়নে র‍্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-১ কোম্পানী অপারেশন পরিচালনা করে ১০ কেজি হেরোইন, ২টি মোবাইল ও ২টি সিমকার্ড উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারকৃত অসামীরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার, জাইরা মরল এলাকার মৃতঃ নসিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া (৫০) এবং আসামি শরিফুল ইসলামের ছেলে মোঃ মোমিনুল ইসলাম।
র‌্যাব-৫ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ র‍্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, একটি চক্র মাদকের একটি বড় চালান পাচার করার পরিকল্পনা করছিল। এর ভিত্তিতে র‍্যাব সদর দপ্তর ইন্টেলিজেন্স উইং এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা দল জানতে পারে ১৪/১২/২০২৩ তারিখ হেরোইন এর একটি বড় চালান পাচার করবে মোঃ রুস্তম আলী নামের একজন ব্যক্তি। পরবর্তীতে মোঃ রুস্তম আলীকে র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় তিনি গত রাতে পদ্মা নদীর সীমন্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল এবং গত রাতে কোন এক সময়ে সীমান্তের ওপার হতে বিপুল পরিমাণ হেরোইন পাচার করে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া নামে মাদকের মুল হোতার বাসায় হেরোইন এর চালান নিয়ে আসে।
র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ এর আভিযানিক দল কর্তৃক মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়ার বাসায় অভিযান পরিচালনার পূর্বে মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়া বুঝতে পেরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। আভিযানিক দল কর্তৃক মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়ার বাসায় তার ছেলে মোঃ মমিনুল ইসলাম কে হেরোইন এর চালান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বীকার করে এবং বাড়ীর পিছনে ৪০০ মিটার দূরে বাঁশ বাগানের মাটির গর্তে পুতে রাখা প্লাষ্টিকের ড্রামের ভিতর থেকে নিজে উদ্ধারকৃত হেরোইনসমূহ বের করে দেয়।
পরবর্তীতে নিজস্ব গোয়েন্দা দল মুল মাদক সম্রাটকে ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আভিযানিক দল কর্তৃক মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে ধুলু মিয়াকে বাড়ী থেকে ২ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড় হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে জড়িত। এই চক্রটির সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশের আড়ালে সীমান্তের ওপার থেকে বিপুল পরিমাণ হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা এ ভাবে বিপুল পরিমান মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে। মাদকের বিরুদ্ধে র‍্যাবের এই রকম অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। আসামীর বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Comment

অনুবাদ