24.9 C
New York
Monday, April 29, 2024
spot_img

রাজশাহীতে নির্মাণ প্রকল্পে ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে ভাঙচুর 

রাজশাহীতে একটি নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পে আদালতের আদেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নির্মাণ প্রকল্পের সাইনবোর্ড সহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অন্য একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে এটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারি। তিনি নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী লিমিটেডের সত্বাধিকারি মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবারের ঘটনা উল্লেখ করে নগরীর দড়িখরবোনা এলাকার আবু হানিফের ছেলে জুবায়ের ইনাম (২০) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৮/২০ জনকে দায়ী করে এবং নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওদের নামে প্রতারনা ও চেকের মামলাসহ একাধিক মামলা ছিল এবং আবু হানিফ আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরও কাজটি আমাকে না দিয়ে অন্য একটি ডেভেলপার কোম্পানিকে জায়গাটি দিতে চায় এবং তারা আমার কাছে জায়গাটির মূল দলিল ফেরত চায়। আমি তখন তাদেরকে বলি, তাহলে আমার পাওনা টাকা এবং খরচের টাকা ফেরত দিন, তারপর জমির দলিল ফেরত দেব এবং চুক্তি বাতিল করবো।

তখন তিনি আমাকে একটা চেক ও অঙ্গীকারনামা দেন। কিন্তু ব্যাংকে চেক জমা দিলে সেটি পর্যাপ্ত পরিমান টাকা না থাকায় ফেরত আসে, এখান থেকেই মূলত প্রতারনার শুরু। এরপর তারা আমাকে বলে টাকাও দেব না জমিও দেব না কাজও করতে দেব না। এটা মূলত ঐ ডেভেলপার কোম্পানির ইন্ধনে এবং শক্তিতে করা হয়েছে।

এবছর ১০ অক্টোবর আদালত উক্ত স্থানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বোয়ালিয়া থানাকে নির্দেশ প্রদান করে ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারী করেন যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। ঐ ডেভেলপার কোম্পানির মালিক প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় তারা আমার ওপর এই জবরদস্তি খাটাচ্ছে। পরবর্তীতে আবু হানিফের নামে একটি প্রতারনা মামলায় গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি হলে, আবু হানিফ গ্রেপ্তার হন এবং এরই জেরে আবু হানিফের ছেলে জুবায়েরের নেতৃত্বে ঐ প্রভাবশালী ডেভেলপার কোম্পানির একজন পরিচালকসহ তাদের মালিকের সহযোগিতায় আদালতের আদেশ ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে এই সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

অভিযুক্ত জুবায়ের ইনামকে তার মুঠোফোনর নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তাকে না পাওয়ায়, তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, জিডি করে থাকলে সেটির নিয়ম অনুযায়ী আদালতে তদন্তের অনুমতি চাওয়া হবে, অনুমতি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
2,859FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles

অনুবাদ