পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মামলার রায় জাল করে ১৯ জনকে পোর্টার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সেই নিয়োগ স্থগিত করেছে পশ্চিমাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর এক আদেশে উক্ত নিয়োগ স্থগিত করা হয়। এই নিয়োগ ঘুষ বানিজ্যের ঘটনায় এখনো কোন তদন্ত দেওয়া হয়নি।
এ দিকে নানা অনিয়ম আর ঘুষ বানিজ্যের মাস্টার মাইন্ডার এস ডাব্লু অফিসের বড় বাবু সৈকত আহম্মেদ এখনো আছে বহাল তবিয়তে। স্কুলের অস্থায়ী পিয়ন পদে ৪ জনের নিয়োগ নিয়েও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট এস ডাব্লু এস এম আকতার ও সৈকত আহম্মেদ এবং সিপিও আমিনুল ইসলামগণদের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ২০০৯ সালে মৃত কোটায় চাকুরীতে ঢোকেন সৈকত আহম্মেদ। চাকুরী জীবনের এই অল্প সময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ১০০ উপর আত্মীয় স্বজন এলাকাবাসীকে চাকুরী দিয়েছেন, নিয়েছেন মোটা অংকের ঘুষ। রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের সামনে করেছেন ৩ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি। পাকশি এমপি মাঠে কিনেছেন ৫ থেকে ৭ বিঘা জমি। এদিকে শ্বশুর বাড়ি ভেড়ামারায় বৌ ছেলের নামে কিনেছেন প্রায় ৬ বিঘার মত জমি। তার কর্মস্থল রাজশাহী নগরী শিরোইল কলোনীর ৪ নং গলিতে কিনেছেন ৪ কাঠা মাটি। প্রশ্ন থেকে যায়, এত অল্প সময় চাকুরী জীবনে তিনি এত সম্পদ করলেন কি ভাবে। যতদুর অনুসন্ধানে জানা গেছে তার পিতার আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। সকল সম্পত্তি তিনি স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে করে রেখেছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ পশ্চিমাঞ্চল রেলে নিয়োগ সিন্ডিকেট করে আসছে এস ডাব্লু, এস এম আকতার, বড় বাবু সৈকত আহম্মেদ, সিপিও অফিসে আইনুল, সহ একটি বড় চক্র।