দুর্নীতি করেও অদৃশ্য কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাজশাহী ডাক বিভাগের দুই কর্মকর্তা

0
13
দুর্নীতি

রাজশাহী ডাক বিভাগের বিভাগীয় অফিসের পোষ্ট মাস্টার জেনারেল (পিএমজি), এডিশনাল পোস্ট মাষ্টার জেনারেল  (ডি.পি.এম.জি) ও দুইজন পোস্ট অফিস পরিদর্শকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, বাৎসরিক বাজেট চুরি, অনিয়ম ও নারী কর্মচারীকে কুপ্রস্তাব প্রদানসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও ডাক বিভাগের বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ দীর্ঘদিন থেকে একই অফিসে চাকুরী করে অঢেল সম্পত্তি আয় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে পরিদর্শক মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের কেনাকাটা ও অন্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সরবরাহ না করেই বিল-ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, আউটসোর্সিংয়ের কাজে অতিরিক্ত বিল উত্তোলনসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করলেও অজ্ঞাত কারণেই ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগীদের পরিবার বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী দপ্তরসহ ডাক তার ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি। বরং অজ্ঞাত কারণে তদন্ত প্রভাবিত করে ভুক্তভোগীদের উপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগসহ হয়রানি করাও হচ্ছে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যাক্ষদোষীদের বরাতে জানা যায়, পরিদর্শক মজিবুর রহমান এক নারী সহকর্মীকে অনৈতিক প্রস্তাব ও উৎকোচন দাবি করেন। পরে ঐ নারী ও তার স্বামী উদ্ধর্তন অফিসার সহ মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ দাখিল করেন। অন্যদিকে অস্থানী নিয়োগে প্রশ্ন পত্র ফাঁসসহ স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বানিজ্যে ডিপিএমজি ও পরিদর্শক মিলে নিয়োগ বানিজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে উত্তরাঞ্চল পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। কিছু তদন্ত চলছে আর কিছু তদন্ত শেষ হয়েছে। আমার কাছে যে সকল অভিযোগ এসেছে তার অনুযায়ী আমি ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। বাকী বিষয় জানতে হলে অভিযুক্তদের নিকট জানতে হবে।

অভিযোগের পাহাড় ও নানা অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে রাজশাহীর ডি.পি.এম.জি. ও পোস্ট অফিস পরিদর্শক অফিসে পর পর তিন গিয়েও কথা তাদের পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি বলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে