সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি কারণে মন খারাপ হতে পারে, এক, নিজেদের মাটিতে ষোলো
দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করলো অথচ আয়োজকের তালিকায় তাদের নামটাই নেই!
দুই, যে মহাযজ্ঞ তারা আয়োজন করলো আজ তার শেষ হতে চলল।
২০২০ সালে ভারতে ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি
বিশ্বকাপ এক বছর পিছিয়ে দেয় আইসিসি। এক বছর পরও ভারত বিশ্বকাপ আয়োজন
করতে পারল না। এগিয়ে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজক। সংযুক্ত আরব আমিরাত শুধু ‘অর্গানাইজ’ করেই তৃপ্ত।
তবে সফলভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে তারা বিশ্ববাসীর কাছে বার্তা দিয়েছে,
যেকোনো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে তারা প্রস্তুত। খবরে এসেছে,
২০২৭ কিংবা ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিডও করেছে তারা।
প্রমোদ শহর দুবাইয়ে আজ মিলনমেলা ভাঙ্গবে ট্রান্স-তাসমান দ্বন্দ্ব দিয়ে। তাসমান সাগরের
দুই পারের দেশ লড়বে টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। দুই দলের কাছেই এই ফাইনাল অনেক অরাধ্য,
সাধনার। আগের ছয় আসরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া কেবল একবারই ফাইনাল খেলেছিল, ২০১০ সালে।
শিরোপা হারায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউ জিল্যান্ড এবারই প্রথম উঠেছে ফাইনালে।
ফলে আজ টি-টোয়েন্টির নতুন রাজা পেতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব।
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে কেউই ফাইনালের দাবিদার হিসেবে ভাবেনি।
অথচ তারাই এখন শিরোপার থেকে এক পা দূরে। চমকে দিয়েছে সবাইকে।
বিশ্বকাপে দুই দল ধাপে ধাপে এগিয়েছে। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সামনে প্রতিবন্ধকতা এসেছে।
কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে তারা আজ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে।