রাজশাহী জেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

0
7

১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালের এইদিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) সকালে জেলা পরিষদ ভবনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও দোয়া শেষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, আমি আজকের আলোচনা সভায় প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ ১৫ আগষ্ট নিহত তার পরিবারবর্গকে। আরো শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ৩০ লক্ষ শহিদ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

এসময় তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারীতে ঢাকার তেজগাঁ বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে জাতির পিতাকে বরণ করা। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন হবে ইনশাল্লাহ।

এসময় তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলি বিদেশীদের নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সঙ্ঘবদ্ধ করে নৌকার জয় নিশ্চিত করবো। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি ও জামাত সম্পৃক্ত তাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকার করবো না। তেল ও জল যেমন মিশ করা যায় না, ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবদ্ধুর আদর্শের বিরোধী তাদের আমরা কখনো মুক্তিযোদ্ধা বলে মানি না বা মানবো না।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সদস্য-৩ ( পবা ও সিটি কর্পোরেশন) মো: তফিুকুল ইসলাম, সদস্য-২ (তানোর) মো: মাইনুল ইসলাম, ও সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল আলম।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত সদস্য-২ ( মোহনপুর, দূর্গাপুর ও বাগমারা) সুলতানা পারভীন রিনা, সদস্য-৪ ( মোহনপুর) দীলিপ কুমার সরকার, সদস্য-৮ (চারঘাট) মো: জনাব আলী ও সদস্য-৭ ( পুঠিয়া) মো: আসাদুজ্জামান মাসুদ সহ অন্যান্য কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে