বাঘায় তথ্য সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, থানায় অভিযোগ

0
5

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিককে প্রাণ নাশের হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে। তাঁর নেতৃত্বে ঐ সাংবাদিককে লাঞ্ছিত ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ প্রায় ১ ঘন্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

সোমবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪ টায় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সাথে দেখা ও তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন হুমকিসহ লাঞ্ছিত মুখে অবরুদ্ধ হন। ঐ সাংবাদিকের নাম আবুল হাশেম। সে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ভিতরে চারপাশে ময়লা আর্বজনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় সেখানকার কর্তব্যরত লোকের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কিছু জানে না বলে জানায়। একসময় সেখানকার এই নোংরা পরিবেশের ভিডিও গ্রহণের সময় ডা. আসাদুজ্জামান আসাদের লোকজন বাঁধা প্রদান করে এবং ফোন কেড়ে নেয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আসাদ সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং সাংবাদিক আবুল হাশেমকে জোর পূবর্ক তার অফিসে নিয়ে যায়। এবং তাকে প্রায় ১ ঘন্টার মতো তাঁর রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তোর গলা কেটে নিবো বলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।

এর আগেও তাঁর নামে রোগীদের সাথে খারাপ আচরণের কথা শোনা গিয়েছিল। এছাড়াও ২০২০ সালে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন ডাক্তারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনর্চাজ খায়রুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ গিয়ে সাংবাদিক আবুল হাসেমকে উদ্ধার করেন। পরে এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ নিয়েছি, বিষয়টি তদন্তে সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে ডা: আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আবুল হাসেম আমার পূর্ব পরিচিত। তাঁর বাসা আর আমার বাসা একই গ্রামে। সামান্য ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। অনিয়ম দুর্নীতি বা নোংরা পরিবেশ থাকলে সে আমাকে বলতে পারতো। আমাকে না বলে সে ভিডিও ধারণ করেছে, তা ঠিক করেননি। একারণে আমার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লোকজন থাকে বাঁধা দিয়েছে। পরে অবশ্য সেই ভুলবোঝাবুঝি ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজ করলে কাজের ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। তাই বলে কি ভিডিও করা লাগবে। আমাকে বললেই তো হতো।

জানতে চাইলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা: আবু সাঈদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি আর নিম্নমানের খাবার বিতরণ ও ওষুধ বিক্রির অভিযোগও উঠে আসছিলো।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই ডাক্তারের সঙ্গেও তিনি দ্বন্দ্বে জড়ান। তিনি কথায় কথায় থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানিও করেন। ঐ উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় নানা অনিয়ম দুর্নীতিতেও জড়ান তিনি, তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে